How to Fix Google AdSense Approval Issue

আচ্ছা, গুগল এ্যডসেন্সের এপ্রুভাল ইস্যু নিয়ে কথা বলার আগে শুরুতে আমি এখানে গুগল এ্যাডসেন্স সম্পর্কে একটু ধারণা দিচ্ছি। কেননা অনেকেই হয়তো রেনডমলি আমাদের এই প্রফেশনাল গুগল এ্যাডসেন্সের ভিডিও দেখছেন এবং কমেন্ট করছেন যে আমি আর্টিকেল লিখবো কোথায় বা ওয়েবসাইট পাবো কোথায় ইত্যাদি।
এই ধরনের বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতে যাতে না সৃষ্টি হয় এ জন্য বলে রাখি এই ভিডিও এবং আর্টিকেল গুলি আমাদের প্রফেশনাল ব্লগিং কোর্স এর একটি আলদা আলাদা পর্ব। আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের প্রফেশনাল ব্লগিং কোর্সের পূর্বের ভিডিও গুলি দেখে নিবেন। সম্পূর্ণ কোর্স লিঙ্কঃ Make money by blogging – Professional course in bangla

What is Google AdSense

গুগল এ্যডসেন্স হচ্ছে গুগলের একটি এডস নেটওয়ার্ক। যার মাধ্যমে পাবলিশাররা তাদের ওয়েব কনটেন্টকে মনিটাইজ করতে পারে। গুগল এ্যডসেন্স এর মত অনেক এডস নেটওয়ার্ক রয়েছে। তবে বর্তমানে গুগল এ্যডসেন্সর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কেননা এর মধ্যমে খুব সহজে কনটেন্টকে মনিটাইজ করা যায়া এবং এটি অনেক ইউজার ফ্রেন্ডলিও বটে। তাছাড়া গুগল এ্যডসেন্স এর আয়ের হার অন্যান্য এ্যডস নেটওয়ার্কের চাইতে তুলনামূলক বেশী।
সাধারণত দুইটি উপায়ে গুগল এ্যডসেন্স থেকে আয় করা যায়। একটি হচ্ছে ইউটিউব চ্যানেলকে গুগল এ্যডসেন্স এর সাথে যুক্ত করে অপরটি হচ্ছে ওয়েবসাইটকে গুগল এ্যডসেন্স এর সাথে যুক্ত করে।

How to solve google AdSense problem

অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় আমরা গুগল এ্যডসেন্স এর বেসিক নিয়মগুলি ফলো করে আবেদন করার পরেও গুগল এ্যডসেন্স আমাদের আপ্লিকেশনটি রিজেক্টেড করছে। রিজেক্টেড হওয়ার অনেকগুলি কারণ রয়েছে। এই বিষয় সম্পর্কে আমি বিগত কয়েক দিন যাবত রিচার্স করেছি এবং ১২টি কারণ খুঁজে পেয়েছি। আমি আশা করছি এই ১২টি কারন যদি সঠিকভাবে ওভারকাম করা যায় তাহলে আপনার গুগল এ্যডসেন্স আপ্লিকেশনটি আর রিজেক্টেড হবেনা।

১। ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমানে কনটেন্ট না থাকা।
ওয়েবসাইটে যদি পর্যাপ্ত পরিমানে কনটেন্ট না থাকে তাহলে সাধারণত এটা বোঝা মুশকিল যে ওয়েবসাইটটি আসলে কি বিষয় সম্পর্কে। যেহেতু গুগল কনটেন্টের ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিজিটরদের এড সার্ভ করে তাই অবশ্যই গুগল এ্যডসেন্স এর জন্য আবেদন করার ওয়েবসাইটে এ মিনিমাম ৮ থেকে ১০ টি কনটেন্ট পাবলিশ করবেন।

২। ওয়েবসাইটে কপিরাইটেড কনটেন্ট থাকলে।
এখানে কপিরাইটেড কনটেন্ট বলতে অন্যান্য সাইট থেকে কারো আর্টিকেল কপি করে সেটি নিজের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করাকে বোজানো হয়েছে। আপনাকে অবশ্যই ইউনিক আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে।

৩। ওয়েবসাইটে কপিরাইটেড ইমেজ থাকলে।
এখানে কপিরাইটেড ইমেজ বলতে অন্য কারো ওয়েবসাইট থেকে ইমেজ ডাউনলোড করে নিজের ওয়েবসাইটে আপলোড করাকে বোঝানো হয়েছে। আপনাকে অবশ্যই নিজেকে ইমেজ ক্রিয়েট করে নিতে হবে অথবা আপনি চাইলে অনেকগুলি কপিরাইট ফ্রি ইমেজের ওয়েবসাইট রয়েছে সেখান থেকে ব্যবহার করতে পারেন।

৪। ওয়েবসাইট লোড হতে অনেক সময় নিলে।
আচ্ছা, আমরা যখন কোন ওয়েবসাইটে বিজিট করি তখন যদি উক্ত ওয়েবসাইটটি লোড হতে অনেক সময় নেয় আমারা কি লোড হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করি? বেশীর ভাগ মানুষেরি উত্তর হবে না। অমারা সাধারণত অলটারনেটিভ ওয়েবসাইটে চলে যাই। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে আমাদের গুগল এ্যডসেন্স আপ্লিকেশনটি গুগল ম্যানুয়্যালি রিভিউ করে। তাই ওয়েবসাইট দ্রুত লোড হোয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমনঃ সিডিএন ইউজ করা, ওয়েবসাইটের ফাইল সাইজ ছোট রাখা ইত্যাদি।

৫। প্রাইভেসি পলিসি, ডিসক্লেইমার, এভাউট আস এবং কনটাক্ট আস পেইজ না থাকলে।
আমাদেরকে অবশ্যই উক্ত পেইজ গুলি ক্রিয়েট করতে হবে। কেননা উক্ত পেইজ গুলি সম্পর্কে গুগগ সরাসরি বলেছে, আপনার ওয়েবসাইটে পেইজগুলি বিদ্যমান থাকতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে এই বিষয়ে একিট আর্টিকেল পাবলিশড করেছি। আর্টিক্লে লিঙ্কঃ What Are the Requirements for Google AdSense

৬। আপনার ডোমেইনটি টিএলডি ডোমেইন না হলে।
এখানে টিএলডি বলতে টপ লেভেল ডমেইনকে বোঝানো হয়েছে। যেমনঃ .com .net .org. info. .xyz . com.bd ইত্যাদি। আমরা অবশ্যই চেষ্টা করবো টিএলডি ডমেই দিয়ে আমাদের অয়েবসাইটটি ক্রিয়েট করার জন্য।

৭। পূর্বে আপনার কোন এক্টিভ এ্যডসেন্স এ্যকাউন্ট থাকলে।
পূর্বে থেকে যদি আপনার একটি এডসেন্স এ্যকাউন্ট থাকে তাহলে গুগল আরেকটি এ্যডসেন্স একাউন্ট দিবেনা। কেননা গুগোল একজন ব্যক্তির জন্য একটি মাত্র এ্যকাউন্ট এলো করছে। এখত্রে আপনার পূর্বের একাউন্টে বর্তমান ওয়েবসাইটকে যুক্ত করতে হবে।

৮। আপনার বয়স ১৮ বছরের কম হলে।
গুগল এ্যডসেন্স একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হলে আপনার বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের বেশি হতে হবে। অর্থাৎ আপনি যেই ইমেইল দিয়ে আবেদন করছেন সেই ইমেইলে আপনার বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে।

৯। ওয়েবসাইটটি এ্যডসেন্স ফ্রেন্ডলি না হলে।
এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা আপনার ওয়েবসাইটের লে-আউট যদি সুন্দর না হয় বা আপনার ওয়েবসাইট যদি দেখতে অনেক হিবিজিবি হয় সে ক্ষেত্রেও গুগল আপনাকে এ্যডসেন্স দিবেনা।

১০। এ্যাফিলিয়েটেড কন্টেন্ট উইথ লিটল ভ্যালু।
এখানে বলা হয়েছে আমাদের ওয়েবসাইটে যদি অন্য কারো প্রোডাক্ট নিয়ে লিখি সেখেত্রে আমাদের কে প্রোডাক্টের স্পেসিফিকেশন লিখতে হয়। আর প্রোডাক্টের স্পেসিফিকেনশ যেহেতু সব যায়গায় একই থাকে। তাই এটা কনটেন্ট এর ভ্যালু হ্রাস করে। তাই চেস্টা করবেন প্রোডাক্টের স্পেসিফিকেশন একটু ইউনিক ভাবে লিখার জন্য।

১১। ভিজিটরদের কিছু ডাউনলোড করতে ফোর্স করা।
আমরা অনেক সময় কিছু ওয়েবসাইটে ভিজিট করলে কোথাও ক্লিক করেলেই আমাদেরকে একপ্রকার ফোর্স করে অন্যান্য ওয়েবসাইটে নিয়ে যায় বা ডাউনলোড করতে বলা। এই ধরনের সিস্টেম যদি আপনার ওয়েবসাইটে করে রাখেন তাহলেও গুগল আপনাকে এ্যডসেন্স দিবেনা।

১২। ওয়েবসাইটে আনঅথরাইজড ট্রাফিক থাকলে।
আপনি যদি কোন টুলস, সফটয়্যার বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ফেইক ট্রাফিক নিয়ে আসেন সেক্ষেত্রেও গুগল আপনাকে এ্যডসেন্স দিবেনা।

উক্ত কাজ গুলি যদি আপনি সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে গুগল আপনাকে অবশ্যই এ্যডসেন্স দিতে বাধ্য থাকবে। আমাদের প্রোফেশনাল ব্লগিং কোর্সটি পেতে ভিজিট করুনঃ Professional Blogging Course in Bangla

Leave a Reply

জি-হোস্ট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত একটি আইটি প্রতিষ্ঠান

©2015–2024 zHost Bangladesh. All rights reserved.