যেকোন কাজে সফলতা অর্জন করতে হলে কাজটি শুরু করার আগে অবশ্যই পরিকল্পনা করতে হবে। পরিকল্পনায় ভুল থাকলে বা যদি কোন পরিকল্পনা না থাকে তাহলে সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়না। হোক সেটা অনলাইন ভিত্তিক কাজ বা অফলাইন ভিত্তিক কাজ।
পরিকল্পনা কি?
পরিকল্পনা হল ভবিষ্যতে আমরা কখন, কোথায়, কার দ্বারা কি করতে চাই তা পূর্ব থেকে নির্ধারণ করাকে বোঝায়। পরিকল্পনা পূর্ব থেকে নির্ধারণ করা হলেও এটি ভবিষ্যৎ কাজের একটিই প্রতিচ্ছবি।
Planning for start blogging
এই পর্যায়ে আমরা ব্লগিং শুরু করার জন্য কি কি করতে হবে সেই কাজ গুলি খুঁজে বের করব। যেমনঃ
• Types of blog
• What is my interest
• Select a niche
• Categories of the niche
Types of blog
এখানে (Types of blog) বলতে বোঝানো হয়েছে ব্লগের কতগুলি প্রকার রয়েছে। ব্লগ এর অসংখ্য প্রকারভেদ রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো ফুড ব্লগ, ফ্যাশন ব্লগ, ট্রাভেল ব্লগ, ভিউটি ব্লগ, মেক মানি অনলাইন।
What is my interest
এখানে (What is my interest) বলতে বোঝানো হয়েছে ব্লগের কোন প্রকারভেদের উপর আমার ইন্টারেস্ট রয়েছে সেটা খুঁজে বের করা। যেমন আমি অনলাইন থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এই বিষয়ে আমার মোটামুটি খুব ভাল একটা ধারনা রয়েছে। বলতে পারেন আমি এই বিষয়ে একজন এক্সপার্ট। আর এই এক্সপার্ট হওয়ার পিছনের কারন হল আমার এই বিষয়ে খুব আগ্রহ ছিল। তাই আপনাকে প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে ব্লগের কোন বিষয়ের ওপর আপনার আগ্রহ রয়েছে।
Select a niche
এখন আপনি ব্লগের যেই বিষয়ের মধ্যে আপনার আগ্রহ খুঁজে পেয়েছেন সেই নিশ টাকে সিলেক্ট করবেন আপনার ব্লগিং ক্যারিয়্যার শুরু করার জন্য। এতে কি হবে? যখন আপনি আর্টিকেল লিখবেন আপনার আগ্রহের বিষয়ের ওপর তখন আপনি খুব সহজে বোর হবেননা। এতে আপনি খুব ভাল ভাবে আর্টিকেল লিখতে পারবেন। এছাড়াও আরো অনেক এ্যাডবান্টেজ রয়েছে।
Categories of the niche
ব্লগিং শুরু করার জন্য এখন আপনি একটি নিশ বাচাই করলেন। তার পরবর্তী কাজ হচ্ছে আপানার বাচাইকৃত নিশের মধ্যে কতগুলি সাব-ক্যাটাগরি রয়েছে সেগুলি খুঁজে বের করা? এখানে আমি একটি উদাহরণ দেই, আমি ব্লগিং শুরু করার জন্য একটি নিশ বাচাই করলাম। আমার নিশটি হচ্ছে Make Money Online বা কিভাবে অনলাইন থেকে আয় করা যায় সেই বিষয় নিয়ে। অনলাইন থেকে আয় করার দুটি পদ্ধতি রয়েছে, একটি হচ্ছে এক্টিভ ইনকাম এবং অপরটি হচ্ছে পেসিভ ইনকাম।
এখন কথা হচ্ছে এক্টিভ ইনকাম কি? একটিভ ইনকাম হচ্ছে আপনি যতক্ষণ কাজ করছেন শুদু মাত্র উক্ত সময় বা কাজের জন্য পারিশ্রমিক পাবেন। যেমনঃ ফ্রিল্যান্সিং। অপর দিকে পেসিভ ইনকাম হচ্ছে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করার পরেও পারিশ্রমিক পাওয়া যায়। যেমনঃ ব্লগিং, এফ্যিলিয়েট মার্কেটিং, ইউটিউবিং ইত্যাদি। সাবক্যাটাগরি গুলি খুজে বের করার পর এগুলো সম্পর্কে আপনাকে যথেষ্ঠ ধারনা রাখতে হবে। যাতে আপনি এই বিষয় গুলি নিয়ে লিখতে পারেন।
পরিকল্পনা ব্যতীত কোন কাজেই সম্পূর্ণ ভাবে সফলতা অর্জন করা যায়না। তাই ব্লগিং শুরু করার জন্যও আমাদের একটি প্রপার প্ল্যানিং থাকতে হবে। তা-নাহলে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।